বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা
বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবেশীর স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।সমঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌর গ্রামের ভুক্তভোগী ওই নারী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় একই গ্রামের কাফিল উদ্দীনের ছেলে আবু রায়হানকে (৩৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দুবলাগাড়ী গ্রামের এনতাজ আলীর ওই মেয়ের সঙ্গে একই উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌর গ্রামের পুটু মিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু পুটু মিয়ার পূর্বের স্ত্রীর ঘরে চার সন্তান থাকায় তিনি তার সন্তান ধারণের ক্ষমতা বিচ্ছেদ (লাইগেশন) করেন।
আর এই সুযোগ নেন প্রতিবেশী লম্পট যুবক আবু রায়হান। এমনকি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুটু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। ফলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি।
তবে ভুক্তভোগী এই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে লম্পট রায়হান বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে তার গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করার জন্য নানা হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এবং গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে মামলা নেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার ও অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবারই বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।