টিকা নিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পরও যে কারণে তা প্রয়োজন
করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসটি সংক্রমণ এবং মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়াচ্ছে। বর্তমানে এখানে করোনার আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
এ ধরনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত টিকাগুলো তেমন কার্যকর নয় বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন। তারপরও টিকা নেয়ার বিকল্প কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
এ ব্যাপারে প্রখ্যাত রিউমাটোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, অনেকেরই প্রশ্ন প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তাহলে কেন আমরা দ্বিতীয় ডোজ নেব এবং এটি সত্যিই সুরক্ষা দিতে সক্ষম কিনা? আসলে এ বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেওয়া বেশ জটিল।
সত্যিকার অর্থে টিকা নিয়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মানে কিন্তু আমরা এ কথা বলতে পারি না যে, টিকা কাজ করছে না।
হেপাটাইটিস-বি টিকা অত্যন্ত পরিচিত এবং আমাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় এটি নিচ্ছেন। অথচ এ টিকা কিন্তু আমাদের হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারে না। মানে টিকা নেওয়ার পরও অনেকের হেপাটাইটিস-বি হতে পারে বা হয়। তারপরও আমরা কেন টিকাটি নেই? এর কারণ হলো, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস থেকে ক্রনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস ও লিভারের ক্যানসার হতে পারে। কিন্তু যারা হেপাটাইটিস-বি টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ভাইরাসটিতে সংক্রমণের হার অনেক কম। আবারো বলছি টিকা নিলে কারও হেপাটাইসি-বি হবে না ধারণা ঠিক না। তবে টিকা নেওয়া থাকলে হেপাটাইটিস-বি’র দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাগুলো হয় না।
অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক মনে করেন, একই উদাহরণ করোনা প্রতিরোধের টিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ টিকাটি নেওয়ার পর কেউ আক্রান্ত হলেও তাদের অসুস্থতা তীব্র হচ্ছে না।
এক্ষেত্রে আমার একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ রয়েছে। টিকা নেওয়ার আগে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুকের সিটিস্ক্যান করাতেন, সেখানে তীব্র সংক্রমণ থাকত। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরে আক্রান্তদের সিটিস্ক্যানে ফুসফুস পুরোপুরি পরিষ্কার আসছে।