ব্রেকিং নিউজঃ

জীবনের শেষ সময়ে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন বাস্তব করলো প্রধানমন্ত্রী

জীবনের শেষ সময়ে নিজের পাকা ঘরে ঘুমিয়ে যেতে পারবো তা ভাবিনি কখনোই। আমার এই স্বপ্ন বাস্তব করে ধির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হ্যা এভাবেই কথাগুলো বলেন গৃহ ও ভুমিহীন পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাবেন তা ভাবতেও পারেননি তারা। তাইতো দু’হাত তুলে দোয়া করলেন।

গতকাল দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়ার মাঝিরহাট পাকা রাস্তার পাশেই নির্মানাধিন ঘর পরিদর্শনে গেলে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিককে দেখে এসব কথা বলেন অসহায় পরিবারগুলো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে পাকা বাড়ি পাচ্ছেন দ্বীপ জেলা ভোলার ৫২০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্ররা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

আগামী ২৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে চলছে ঘর নির্মাণের কাজ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য এই ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এর জন্য ঘর নিমার্ন কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব তথ্য জানান ভোলা জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক। এসময় তিনি স্বচ্ছ ভাবে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা জানান। কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।

এসময় ভূমিহীন জাহানারা (৬৫) বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পরে ৫ সন্তান নিয়ে ঠাই ছিলো অন্যের জমিতে। শ্রমিক সন্তানরা সংসার চালানোর তেমন কোন সামর্থ্য নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাকা বাড়ি ও জমি পেয়ে খুশির সিমা নেই তার।

শুধু জাহানার নয় তার মতো ভোলা জেলার ৫২০ টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার পাচ্ছেন। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র্য সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।

জাহানার মতো খুশী বাকপ্রতিবন্ধি জোছনা বেগম এর পরিবারও। তারা বলছেন মেয়ে কথা বলতে পারেনা স্বামীর জমি নাই সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়িতে থাকেন। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এই ঘর ওদের অন্ধকার জীবনে আলো ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানান। এসময় তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুহাত তুলে দোয়া করেন। তবে এই গুচ্ছ গ্রামে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে জানালেন অনেকেই।

সরকারের এই সুবিধা প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে দেওয়ায় খুশী স্থানীয়রাও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশের মতো ভোলায় খাস জমি খুজেঁ কাজটি বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা প্রশাসন।

আর নিয়মিত তদারকি করছেন জেলা প্রশাসন। ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা সদর উপজেলায় ১৮২টি ঘর প্রথম ধাপে অনুমোদন দিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেরাই এর নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভাবে ঘরগুলো গুনগত মান ধরে রাখার জন্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদারকি করা হচ্ছে। যাতে যারা এখানে থাকবে তাদের কোন অসুবিধা না হয়।

ভোলা জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলছেন, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার, এ স্লোগানকে সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যেই ভোলায় সরকারি খাস জায়গার ওপর ভূমিহীনদের নির্মাণ করা হচ্ছে ভূমিহীনদের জন্য ঘর।

এখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন প্রায় ৫২০ পরিবার। যাদের কোনো ঘর ও জমি নেই। তাদেরই এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে,স্বামী পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধীদের। প্রত্যেক পরিবারকে ২একর জমির মালিকানাসহ লিখে দেওয়া হচ্ছে দুই কক্ষের একটি বসতঘর। তার সঙ্গে থাকছে রান্নাঘর, বাথরুম ও সামনে খোলা বারান্দা।

যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১হাজার টাকা। এতে হতদরিদ্র সুবিধাভোগীরা দারুণ খুশি। এছাড়া অন্যান্য সুবিধার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে টিউবয়েল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ২-এর আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভোলার সাত উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাড়ি দেয়া হবে ৫২০টি।

এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮২টি,দৌলতখান উপজেলায় ৪২টি,বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২৮টি, লালমোহন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ৩০টি ও মনপুরা উপজেলায় ২০০টি।

ফেসবুকে লাইক দিন

Latest Tweets

তারিখ অনুযায়ী খবর

May 2024
F S S M T W T
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31