খ্রিস্ট ধর্মে উত্তর না পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন রুশ নারী
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ২৩ বছর বয়সী রাশিয়ান নারী কাতিয়া কোতোভা প্রথমবারের মতো মস্কোর ক্যাথেড্রাল মসজিদে প্রবেশ করেন।
তার মিশন হচ্ছে ইসলাম গ্রহণ করা। এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কাতিয়া কোনো মসজিদের ভিতর পা রাখেন। প্রথমটি ছিল সেই শৈশবেই।
সেই সময় তার নানী ৩ বছর বয়সী কাতিয়াকে তাদের স্থানীয় বাশকোরটোস্টানের একটি মসজিদে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অতীত সেই স্মৃতি স্মরণ করে কাতিয়া বলেন, ‘আমি এখনো স্পষ্টভাবে সেই দৃশ্যটি স্মরণ করতে পারি।
নারীরা উপরের তলায় প্রার্থনা করছিল এবং আমি সিঁড়ির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর গ্রাউন্ড ফ্লোরে মুসলিম পুরুষদের নামাজ আদায় দেখছিলাম।’
বাশকোরটোস্টানের অর্ধেকেরও বেশি ‘জাতিগত’ মুসলিম জনগোষ্ঠীর। এর অর্থ হচ্ছে তারা ঐতিহাসিক কারণেই সর্বদা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
আধুনিক রাশিয়ার সোভিয়েত যুগের অতীত নাস্তিকতার আলোকে এটি একটি সাধারণ পরিস্থিতি। কাতিয়ার বাবা-মা দুজনেই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী।
তার বাবা রাশিয়ান এবং ‘জাতিগত’ অর্থডক্স এবং তার মা তাতার জনগোষ্ঠীর ‘জাতিগত’ মুসলিম। তাদের দুজনের কেউই ধর্মীয় আচারনিষ্ঠ নয়।
তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম অনেক বেশি ধর্মীয় মনস্তাত্বিক ছিল। কাতিয়ার মুসলিম নানী তাকে ইসলামিক রীতিনীতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেন।
অন্যদিকে, তার খ্রিস্টান বাবার দাদী তাকে খ্রিস্টান রীতির বিভিন্ন বিষয়ে দীক্ষা দেন। কাতিয়া নামাজের আয়াত সমূহ মুখস্থ বলতে পারেন।
যদিও তিনি এসবের অর্থ না বুঝেই মুখস্থ করেছিলেন। এসম্পর্কে কাতিয়া বলেন, ‘শৈশবে যখন কোনো কারণে আমি ভয় পেতাম, তখন আমি নামাজের আয়াত সমূহ স্মরণ করতাম।
’ শৈশবজুড়ে কাতিয়ার ঘুমের সময় কেটেছে উভয় ধর্মের প্রার্থনার বাণী পড়ে বা শুনে। এটি যে সাধারণ রীতি নয় সেসম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন না।
১৩ বছর বয়সে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি যা করেছেন তা সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য নয়।
এছাড়াও, কাটিয়াকে অর্থডক্স খ্রিস্টান হিসাবে তালিকাভূক্ত করা হয়। তাই তিনি মুসলিম প্রার্থনা পরিত্যাগ করার এবং ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মূর্তি পরিধান করার সিদ্ধান্ত নেন।
কাতিয়ার বড় ভাইও অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ওই দিনগুলোতে খ্রিস্টান বিশ্বাসের রীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলেন।
এসময় কাতিয়ার মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় কিন্তু কেউ তার জবাব দিতে পারত না।
উদাহরণস্বরূপ, যিশু বা ঈসা মসিহ কোনো নবী নন, তিনি হলেন স্বয়ং ঈশ্বর-খ্রিস্ট ধর্মের এই ধারণাকে তিনি স্বীকার করতে পারেননি এবং পবিত্র ধ্বংসাবশেষের উপাসনার মতো অর্থোডক্সের কিছু রীতিনীতির সঙ্গে একমত হননি।
এসব চিন্তাধারা তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। ১৮ বছর বয়সী কাতিয়া মস্কোতে আসেন। একজন আইনজীবী বা একজন তদন্ত কর্মকর্তা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি ‘অল রাশিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব জাস্টিস’ এ ভর্তি হন।
একজন মুসলিম তরুণীর সঙ্গে কাতিয়া তার হোস্টেল কক্ষ শেয়ার করেন এবং তারা প্রায়ই ধর্ম সম্পর্কে যুক্তি-তর্কে লিপ্ত হতেন।
নিজের পক্ষে উপযুক্ত যুক্তি দাঁড় করাতে কাতিয়া অর্থোডক্স এবং ইসলাম সম্পর্কে অধ্যয়ন শুরু করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের প্রতি তার আগ্রহ বাড়তে থাকে এবং এটি গ্রহণের জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।
স্নাতক শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে কাতিয়া ‘তদন্ত কমিটি’ বিষয়ে একটি ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন এবং সেখানে কাজ শুরু করার অভিপ্রায়ে কাতিয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।
হিজাব পরে তদন্ত কমিটিতে কাজ করার বিষয়টি প্রশ্নের বাইরে ছিল না। তাই কাতিয়া তার ভবিষ্যতের অপশনগুলো বিবেচনা করার জন্য একটি ছোট বিরতির সিদ্ধান্ত নেন।
এটি ছিল তার জীবনের কঠিন মুহূর্ত। বর্তমানে তিনি দাগেসস্তানের একটি হালাল ক্যাফেতে একজন ওয়েট্রেস হিসাবে কাজ করছেন। দাগেসস্থানে রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস।
বাড়ি ফিরে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান। কাতিয়া বলেন, ‘মস্কোতে আমি নিরাপদ বোধ করি।
হিজাব পরিধান নিয়ে আমি ভীত নই। এটা ঠিক যে হিজাবের কারণে প্রায়ই আমাকে মৌখিক অপব্যবহারের শিকার হতে হচ্ছে, তবে কোনো ধরনের শারীরিক আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
আপাতত মস্কো ছেড়ে যাবার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। ভবিষ্যতে যদি মস্কো ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেই, তবে আমি তাতারস্থানে যেতে চাই; যেখানে অনেক বেশি মুসলমানের বাস।
সেখানে অনেক বেশি হিজাবি নারী এবং অনেক হালাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে।’ তিনি দৃঢ় ইচ্ছার স্বাধীন নারীদের গল্পে অনুপ্রাণিত হন।
আলাপকালে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আইরিনা সেন্ডলারের কখা বলেন। আইরিনা সেন্ডলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ওয়ারশ ঘেটো’ থেকে প্রায় ২,৫০০ জন শিশুকে রক্ষা করেন।
এছাড়াও, প্রথম নারী মহাকাশচারী সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালেন্তিনা তেরেশকোভা এবং পাকিস্তানি তরুণী মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই এর গল্প তাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে।
নারী ও শিশুদের সাহায্য এবং পরিবারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অদূর ভবিষ্যতে তিনি মানবাধিকার কর্মকাণ্ডে ফিরে যাবার আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রুশ মানসিকতা বলে যে, প্রকাশ্যে আপনার নোংরা লিনেন কাপড় ধোয়া উচিত নয়।
এর অর্থ হচ্ছে- পারিবারিক সহিংসতাসহ পারিবারিক সমস্যাসমূহ যা লোকজন প্রকাশ্যে বা অকপটভাবে বলতে চায় না। এটা নারীদের জন্য একটি সমস্যা। আমি বিশ্বাস করি পারিবারিক সংঘাতের বিষয়টি উভয় দিকেই জড়িত থাকা উচিত।’
এর অর্থ হচ্ছে- পারিবারিক সহিংসতাসহ পারিবারিক সমস্যাসমূহ যা লোকজন প্রকাশ্যে বা অকপটভাবে বলতে চায় না। এটা নারীদের জন্য একটি সমস্যা। আমি বিশ্বাস করি পারিবারিক সংঘাতের বিষয়টি উভয় দিকেই জড়িত থাকা উচিত।’
কাতিয়া বলছেন যে ইসলামে নারীরা মুক্ত। ইসলামের গৎবাধাঁ চিন্তাধারা মুসলিম নারীদেরকে দুনিয়া থেকে আলাদা করে রেখেছে। তাদেরকে বাড়িতে পাখির খাঁচার মতো আবদ্ধ করে রাখছে।
ইসলামে ঝুঁকছে কিউবান নারীরা কিউবার রাজধানী পুরনো হাভানার বিভিন্ন রাস্তায় মনোরম পরিবেশে বোরকা ও হিজাব পরে হাঁটতে দেখা যায় মুসলিম নারীদের। আর সেথানে দিন দিন বাড়ছে এর সংখ্যা।
সেখানে ধর্মচর্চা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে নারী-পুরুষদের। ইসলামের আলোয় রীতি-নীতি ভালোভাবেই মেনে চলার চেষ্টা করছে কিউবার নারী-পুরুষরা।
জনসংখ্যার ০.১ শতাংশ মুসলিম বসবাস করছে এখন কিউবায়। নিরবে ইসলামের প্রসার হচ্ছে সেখানে। অন্য ধর্মের মানুষগেুলো আস্তে আস্তে ভিড়ছে ইসলামের পতাকা তলে।
তবে ইসালামের দীক্ষায় সেখানে নারীদের জন্য হালাল খাবার খুঁজে পাওয়া এবং পুরো দেশে একটি মাত্র মসজিদ থাকার কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অসুবিধায় পড়তে হয়।
অনেক সমস্যার মাঝেও সেখানে নরীদের মধ্যে বড়ছে ধর্মে-ধর্মান্তরিত হওয়ার দৃশ্য। ইসলামের চোখ জুড়ানো ভ্রাতৃত্ব তাদের নতুর করে ভাবাতে শুরু করে।
নতুন বিশ্বাসকে গ্রহণ করে: আধ্যাত্মিক উদ্ঘাটন, ধর্মীয় কৌতূহলের কারণে মুসলিমদের সাথে অংশ নেয় অন্য ধর্মের নারীরা। আর এভাবেই বেড়ে চলছে দ্বীনের প্রচার।
২৭ বছর বয়সী মরিয়ম ক্যামেজো পেশায় একজন সাংবাদিক। যিনি সাত বছর আগে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মহিলাদের এবং বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে।
মরিয়ম স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত এবং হাভানার মসজিদে আরবি এবং কুরআন ক্লাস পাঠদান করান। যা ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
৩৫ বছর বয়সী ইসৌরা আরগুদিন বলেন, দ্বীপে “জ্ঞান” না থাকার কারণে তিনি কিউবার মুসলিম মহিলা হিসাবে অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
কিউবার ইসলামিক লীগের মতে, ১ হাজার ২শ’ জন মহিলাসহ প্রায় ১০ হাজার মুসলমান রয়েছে সেখানে।
মসজিদ নেই সেই দেশ মুসলমানদের জন্য ভ্রাতৃপ্রতীম নয় এ কথা অনস্বীকার্য।
আর খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কিউবায় মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.১ ভাগ।
সত্তর ও আশির দশকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিউবায় পড়তে আসা কিছু ছাত্র ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন। ইসলামের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিউবার স্থানীয়রা ইসলাম গ্রহণ করা শুরু করেন।
এভাবেই ধীরে ধীরে ইসলামের প্রচার বেড়ে যায়। কিউবার দুটি মুসলিম সংগঠন (অরাজনৈতিক) ইসলাম প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে।
মসজিদ না থাকায় কিউবার মুসলিমরা সাধারণত বাড়িতেই তাদের ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। কারণ কিউবায় জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ার জন্য নেই কোনো মসজিদ।
তবে হাভানায় ‘আরব হাউজ’ নামে একটি ইমিগ্রান্ট ভবনে (বর্তমানে এটি যাদুঘর ও রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত) শুধু জুমার নামাজ পড়ার জন্য কিউবা সরকার অনুমতি দিয়েছে।
মাত্র তিন ঘন্টার জন্য খুলে দেওয়া হয় ভবনটি। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ঐখানে নামাজ পড়তে পারবে শুধু যারা নন-কিউবান মুসলিম তারা। কিউবার মুসলিমদের ক্ষেত্রে সে অনুমতিও নেই।
হাভানার বাইরে কিউবার উপকূলীয় শহর আলমারায় প্রতি শুক্রবার খেলার মাঠে গুটিকয়েক মুসলিম জুমার নামাজের জন্য জড়ো হন।
তারা যখন খেলার মাঠে নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তাদের পাশ দিয়ে বিকিনি পড়ে হেঁটে যায় মেয়েরা।
মদের বোতল হাতে পার্কে বসে থাকা যুবক তাকিয়ে দেখে নামাজ পড়ার দৃশ্য। এদেশে যৌনতা, মদ এবং শুকরের মাংস ডাল-ভাতের মতো।
ভাবা যায়, মুসলিমদের কতটা কষ্ট স্বীকার করে সেখানে চলতে হয়।পৃথিবীতে আর কোনো সম্প্রদায়ের তাদের জীবনবিধান মেনে চলতে গিয়ে এমন কষ্ট স্বীকার করতে হয় কিনা আমার জানা নেই।
অথচ সেই ইসলামকে প্রগতিশীল দাবিদার তথাকথিত সুশীলরা বলে বেড়ায় ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম।
যাদের কারনে ও যাদের প্রচার-প্রচারণায় ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে আজ জাহির করা হচ্ছে- এ দুপক্ষের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।
কিউবায় না-আল্লাহতে বিশ্বাসীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
তবু তারা আল্লাহতে বিশ্বাসীদের কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলে না আমাদের দেশের তথাকথিত না-আল্লাহতে বিশ্বাসীদের মতো।
কিউবায় মুসলিম জীবনাচার মেনে চলা কষ্টকর হলেও স্থানীয়রা যথাসম্ভব তাদের সহায়তা করেন।
বিশেষ করে হালাল খাবার খুঁজে পেতে তাদের অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়।সমগ্র কিউবায় মুসলিমদের জন্য কোনো হালাল মাংসের দোকান নেই।
উল্লেখযোগ্য দুজন কিউবান নওমুসলিম: আলী নিকোলাস কোসিও, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বর্তমানে তিনি ‘ভয়েস অব ইসলাম’ নামের একটি রেডিও স্টেশনে সাংবাদিকতা করছেন। জুয়ান কার্লোস গোমেজ, সাবেক বিখ্যাত কিউবান বক্সার।
কিউবায় দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো কোনো পোপ কিউবায় গিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। পোপ দ্বিতীয় জন পল কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি সফর করেছিলেন।
সফরটির মাধ্যমে ভ্যাটিকান আর ১৯৫৯ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ধর্ম নিষিদ্ধকারী কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটে।
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ নেতাকে কিউবার সংখ্যাগুরু ক্যাথলিক জনতা অত্যন্ত উদ্দীপনার সাথে স্বাগত জানিয়েছিল।
হাভানায় ক্যাস্ট্রোসহ লাখ লাখ লোক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই ডামাডোলে কিউবানদের অন্য একটি ছোট্ট গ্রুপ ধর্মের প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান সহিষ্ণুতার বিষয়টি লক্ষ্য করে।
তারা মনে করতে থাকে, খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যাপারে সরকার যেহেতু নমনীয় হয়েছে,ইসলামও সমস্যায় পড়বে না।
কিউবা শিগগিরই ক্রমবর্ধমান হারে ইসলামকেও গ্রহণ করবে। তাদের বিশ্লেষণ ঠিক ছিল বলেই মনে হচ্ছে।ইসলাম এখন কিউবায় দ্রুত বেড়ে চলেছে।
তবে তা নীরবে। এখন সেখানে প্রায় ১০ হাজার মুসলিম বাস করে।
কিউবার এক কোটি ১৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে তারা একেবারেই ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে অল্প কিছু মুসলিমের বিষয়টি মাথায় রাখলে তাদের বৃদ্ধি ব্যাপক বলে মানতেই হবে। ইসলাম এখন কিউবায় দ্রুত বেড়ে চলেছে। তবে তা নীরবে।
এখন সেখানে প্রায় ১০ হাজার মুসলিম বাস করে। কিউবার এক কোটি ১৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে তারা একেবারেই ক্ষুদ্র অংশ।
কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে অল্প কিছু মুসলিমের বিষয়টি মাথায় রাখলে তাদের বৃদ্ধি ব্যাপক বলে মানতেই হবে। ‘
কমিউনিস্ট পার্টি ধর্মীয় বহুত্বের দরজা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইসলাম বিকশিত হতে থাকে।’ এটা ছিল আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল লিও ওয়েন্সের বিশ্লেষণ।