সামরিক মর্যাদায় বিজিবির নায়েক আক্তারকে দৌলতখানে দাফন
বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন টিপনকে তার গ্রামের বাড়ি দৌলতখানে সামরিক মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল নয়টায় দিকে তার মৃতদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি দৌলতখান হেলিপোর্টে অবতরণ করে। পরে সাড় ১১ টার দিকে দৌলতখান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জামে মসজিদের সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
খুলনা থেকে আসা বিজিবির সুবেদার আবদুল হালিম সঙ্গীয় বিজিবির সদস্যদের নিয়ে কপিনে সামরিক মর্যাদায় গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তারের মৃত্যু হলে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে তার মৃতদেহ দৌলতখানে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর আখতার হোসেন টিপন কক্সবাজার (৩৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অধিনস্থ রেজু আমতলী বিওপির প্রস্তাবিত টিওবির স্থান নাইক্ষ্যাছড়ির সীমান্তে টহলরত অবস্থায় পেয়ারা বুনিয়া এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন।
প্রাথমিকভাবে রামুর সামরিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া পর অবস্থার অবনতি দেখা দিলে গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার কক্সবাজার রামু থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।
সিএমএইচ হাসপাতালে তার ডান পা অস্ত্রোপচারে কেটে ফেলা হয়। বাম পা না কেটে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রেখে দেয়ার জন্য ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেন । পরে ২৮ অক্টোবর বুধবার তার বাম পা টিও কেটে ফেলার পর অবস্থার অবনতি হলে সে মারা যায়।
আক্তার হোসেন টিপনের ছেলে জিহাদ হোসেন জিদান আমার দেশকে জানিয়েছেন তার বাবার দুপা কেটে ফেলা হয়েছিল। অবশেষে বাম পা কাটার দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
বিজিবির নায়েক আখতার হোসেন টিপনের বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান সরকারি কলেজ এলাকার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। সে বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আবদুল মান্নানের ছেলে।
এদিকে আক্তার হোসেনের টিপনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে গত দুদিন ধরে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাবা মায়ের কান্না ও আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠছে।
