জিয়া চ্যারিটেবল মামলায়: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২ মার্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করেছে।
এ আপিলের শুনানি আগামী ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে রোববার জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে এই মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। তবে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে ওই রায়কে খালাস দেন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে মুক্তি দেন। এর পর, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ জানিয়েছেন, “দুদক পৃথক একটি আবেদন করেছে, তাদের আইনজীবী আদালতকে একসঙ্গে শুনানি করার জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছে।”
বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, ২ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন একসঙ্গে শুনানি হবে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন, রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, মাকসুদ উল্লাহ ও কায়সার কামাল।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট দুদক জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় অভিযোগ ছিল যে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেন করা হয়। তবে, হাই কোর্টের রায়ের পরে খালেদা জিয়া দাবি করেছেন যে, তিনি দোষী নয় এবং আদালতের মাধ্যমে তার নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তবে, হাই কোর্টের আপিল বিভাগ সেই সাজা স্থগিত করেছে এবং আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তার সাজা স্থগিত থাকবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির পর ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি তার দণ্ড মওকুফ করেন, তবে তা শুধুমাত্র সাজা মওকুফ করা হলেও আদালতের রায় বাতিল হয়নি। এতে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এখন, ২ মার্চের শুনানির পর আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও আইনি অবস্থান নির্ধারিত হবে।