অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জন, রেগেমেগে আগুন অমিতাভ
বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দম্পতিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার শেষ নেই।
অথচ নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া।
কিন্তু তাদের নিয়ে চুপ নেই নেটিজেনরা। এ নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।
তিনি সাধারণত পরিবার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব কম কথা বলেন।
কারণ এসব করে তার পরিবারের সম্মান নষ্ট হতে দিতে চান না বিগবি অমিতাভ বচ্চন।
কিন্তু সেই পরিবারকে নিয়েই হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে কথা বললেন তিনি।
সদ্য অভিষেক-ঐশ্বরিয়া কন্যা আরাধ্যা বচ্চন পা দিল কৈশোরে। মা সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। তার আঙুলে বিয়ের আংটি এখনো জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু বাবা অভিষেক বচ্চন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা নীরব।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে নির্বাচন হলো। অক্ষয় কুমার সকাল সকাল উপস্থিত। প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে দেহরক্ষী নিয়ে ভোট দেন বলিভাইজান সালমান খানও।
কিন্তু ওই দিনও অনুপস্থিত বচ্চন পরিবার! কেউ ভোট দিতে যাননি। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্যের জোয়ার।
অভিষেক বচ্চন-ঐশ্বরিয়ার যে বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে, তা যেন এক প্রকার নিশ্চিত।
অবস্থা বেগতিক দেখেই কি সবার সামনে এসে মুখ খুললেন অমিতাভ? খানিকটা চটে গিয়ে ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য পেশ করলেন তিনি।
কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে অমিতাভ লিখেছেন— বক্তব্যের শেষে একটা করে প্রশ্নচিহ্ন! অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের চর্চায় নতুন ইন্ধন। পাঠকরা পড়ছেন এবং দেদার প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন। এতে ভুয়া খবর আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে।
শাহনেশাহ আরও লিখেছেন— তিনি চট করে নিজের পরিবার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খোলেন না। পরিবারের সম্মানহানি যাতে না হয় সে কারণেই।
কিন্তু অবলীলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, সংবাদমাধ্যমে সেটিই প্রতিমুহূর্তে ঘটছে, যা দেখে তিনি স্তম্ভিত।
পাশাপাশি অমিতাভ নিন্দাচ্ছলে প্রশংসা করেছেন সংবাদমাধ্যমেরও। তিনি লিখেছেন— আপনারা নিজেদের কাজে একটুও ফাঁকি দিচ্ছেন না।
অবশ্যই প্রশংসিত। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা না জেনে দিনের পর দিন অর্ধসত্য খবর ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, এতে অর্ধসত্যই প্রকাশ পাচ্ছে, যা পড়ে সাধারণ পাঠক নিজেদের মতো করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
তার বিনীত প্রশ্ন— কোনো পরিবারকে অকারণে বিব্রত করতে এ ধরনের ভুয়া কুৎসাই কি কাম্য?