পরকীয়া একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রসেস
পরকীয়া একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রসেস। হুট করে প্রথম দেখায় ভালবাসা হলেও, পরকীয়া কিন্তু হুট করে হয় না।
যখন দেখবেন হায় হ্যালো থেকে আপনার কনভারসেশন মিড নাইট অব্দি চলে যাচ্চে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনি ভুল।
যখন দেখবেন দরকারের বাইরেই কাউকে অযথা নক দিচ্ছেন, কল দিচ্ছেন বা কেয়ার করছেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে শয়তান আপনার উপর ভর করেছে।
কিন্তু ভুল জানার পরেও ,বুঝার পরেও আপনি যখন সেটা কন্টিনিউ করবেন, তখন সেটা কে ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত বলে যেতে পারে। পরকীয়া যারা করে তারা ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনেই করে।
একজন সমাজ পরিবার তোয়াক্কা না করে পরকীয়া করে আবার অপর জন সমাজ এবং পরিবারের স্বার্থে সব জেনে বুঝেও মেনে নেয়। তার মানে দায়ভার আপনাদের উভয়ের।
ফেসবুক কখনো পরকীয়া, ডিভোর্স সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না। ফেসবুকে মানুষ আপনাকে জাজ করবে, কয়েকদিন সমালোচনা করবে, আলোচনা করবে এবং একটা মুখ ররোচক টপিক হিসেবে দেখবে। তার পর যে যার মত ব্যস্ত হয়ে যাবে।
আপনার জীবন আপনাকেই মেইনটেইন করতে হবে। তাই এই ধরনের বিষয় গুলা পরিবার কে সাথে নিয়ে সমাধান করুন বা করা উচিত।
চারদিকে যেভাবে পরকীয়া , চিটিং এসব হচ্ছে এতে করে ইয়াং জেনারেশন এর ছেলে মেয়েদের বিয়ের ভীতি ঢুকে গেছে। এটার দায়ভার আমরা এড়াতে পারি না।
এই ইয়াং জেনারেশন এর ছেলে মেয়েরা বিশ্বাস করতে চেয়েও পারে না যে বিয়ে সবচেয়ে সুন্দরতম বিষয়। এর থেকে সুন্দর এবং পবিত্র কোন সম্পর্ক হতেই পারে না। কিন্তু এই সব পরকীয়া ,চিটিং করা এসবের জন্য তারা এখন বিয়েকে নেগেটিভ ভাবে দেখা শুরু করেছে।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ , পরকীয়ার মতো এতো নোংরা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে না লিখে পারিবারিক এবং আইনী ভাবে সমাধানে আসুন।
ছেলে মেয়ে গুলা কে বুঝতে দিন, সবাই পরকীয়া করে না। সবাই এমন চরিত্রহীন/হীনা না। যারা এসবের বাইরে ,তারা বিবাহিত জীবনে অনেক বেশী ভালো আছে।
তারা একটা পজেটিভ ভাইব পাক ভালো কাপল দের থেকে। তাদের জীবন থেকে এই বিয়ে ভীতি দূর হোক। আর কতো!
মতামতের ভিন্নতা থাকলে পারে যেহেতু আমরা আলাদা মানুষ। তাই মত ভিন্ন হলেও আমি আপনার মতামত কে সম্মান জানাই।