এখন আর কেউ একা অনুভব করবে না: মিম

স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। যেমনটা এগিয়ে এসেছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনিও। সেই সঙ্গে দেশবাসীর এমন একতাবদ্ধ হয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো হৃদয় জয় করেছে অভিনেত্রীর। দেশের এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিম। নতুন বাংলাদেশ মিমকে আশান্বিত করছে। তার মতে, এভাবে এক হয়ে সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে থাকলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে। এ বিষয়ে মিম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ সবাইকে শক্তিশালী করে তুলছে। আমার মনে হয়, এখন আর কেউ একা অনুভব করবে না। ফেনী, কুমিল্লার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে যেভাবে গোটা বাংলাদেশের মানুষ দাঁড়িয়েছে-এটি তার প্রমাণ। এখন আমরা কেউই একা নই। বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে। এ ছাড়া শিল্পীসমাজ যে যেভাবে পেরেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও শিল্পীসমাজ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। কিন্তু এবারের বিষয়টি আগের সব কিছুর চেয়ে আলাদা। আমি দেখলাম অনেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলে ছুটে গিয়েছেন। অনেকে ঢাকায় বসেই তাদের জন্য সহযোগিতা করছেন। এভাবে সবাই যার যার পাশে থাকলে আমাদের চেয়ে শান্তিতে আর কোনো দেশের মানুষ থাকবে না। এই একতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ চেষ্টাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেক দিন পর কাজে ফিরেছি। কিন্তু মনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ আমাকে মর্মাহত করে তুলছে প্রতিনিয়ত। তার পরও তো কাজে ফিরতে হবে। আমি বর্তমানে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। শুটিং সেট থেকেই কথা বলছি।’ সিনেমার ব্যস্ততা নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতি দেখে সেভাবে আর কথা এখনই আগাচ্ছি না। সব কিছু একটু স্থিতিশীল হলে তখনই সিনেমার কাজে ফেরার ইচ্ছে আছে। কারণ সিনেমার বিষয়টি বিজ্ঞাপনের মতো নয়। তাই একটু সময় নিয়ে আবারও সিনেমায় ব্যস্ত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’ এবারের বন্যায় ‌১২ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি। বন্যায় গত শনিবার পর্যন্ত ১২ জেলায় মোট ১৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে তিন হাজার ৫২৭টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন আশ্রয় নিয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

Latest Tweets

তারিখ অনুযায়ী খবর

May 2025
F S S M T W T
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031