বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘মিথ্যা ও অসত্য তথ্য’ প্রচার করার অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ছাড়াও বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া, ভাই হাবিবুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনকে আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে ধানমণ্ডি থানার ওসি একরাম আলী মিয়া জানিয়েছেন।

মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত বছর ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছর আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার।

সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা বাবুলের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

মামলায় বলা হয়, বাবুল আক্তার, তার ভাই ও বাবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন।

ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে প্রচার করা হয়।

পিবিআই প্রধান তার মামলায় বলেছিলেন, দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে আমার মানসম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে আসামিরা। যার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৬ জুন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন সে সময় পুলিশ সুপার পদে থাকা বাবুল আক্তার।

কিন্তু মিতু হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে বর্তমানে মিতু হত্যা মামলার বিচার চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

Latest Tweets

তারিখ অনুযায়ী খবর

June 2023
F S S M T W T
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30