পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগ! রায়পুর সড়কের বেহাল অবস্থা

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার দেড় কিঃমিঃ সড়কে যানবাহন চলাচলসহ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

এছাড়াও পৌরসভার বেশিরভাগ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সড়কটি পৌরসভার হলেও তত্বাবধানের কাজ করে থাকেন উপজেলা এলজিইডি। অন্যদিকে- সরকারি বরাদ্ধ আসলেও পৌর এলাকার ৩২টি রাস্তা সংস্কারের পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মেয়রের দাবি।

পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো-রায়পুরে ট্রাফিক মোড় থেকে হাদরগঞ্জ সড়কের মার্চ্চেন্টস একাডেমির সামনে ২০ মিটার, পীর বাড়ির সামনে ও খাজুরতলা নামক স্থানে ১০০ মিটার জায়গায় বিশাল বিশাল গর্ত।

নতুনবাজার থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত ১কিঃমিঃ করুন অবস্থা।

বাসস্টান্ডের পিছনের রাস্তার ১কিঃমিঃ করুন অবস্থা। সরকারি হাসপাতালের পাশে টিএনটি সড়ক ১কিলোমিটার সহ কয়েকটি সড়কের নাজুক অবস্থা চোখে পড়ে। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারি মার্চ্চেন্টস একাডেমির সামনের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গাড়ি তো দূরের কথা মানুষও হাটতে পারছেনা।

শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থান নতুন বাজার মোড়। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে বহু গর্তের। বৃষ্টির সময় মোড় পার হতে গিয়ে যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকে আসা পানিতে প্রায়ই পথচারীদের পোশাক নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে ।

এদিকে পৌর শহরের বেশির ভাগ রাস্তাই সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু নাসের বাবু অভিযোগ করে বলেন, নিজের পকেটের ২০ হাজার টাকা খরচ করে খাজুরতলা ২০ মিটার জায়গা জুড়ে বড় বড় কয়েকটি গর্ত ভরাট করেছি। সড়কটির নাজুক অবস্থার কারণে এলাকাবাসীর কাছে মুখ দেখানো যায় না।।

রায়পুর পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী শাখা সুত্রে জানাযায়, পৌরসভার মোট রাস্তার পরিমাণ ৯ দশমিক ৫ বর্গ কিলোমিটার।

এর মধ্যে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাকা আর ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার কারফিটিং ও আরসিসি সাড়ে ৩ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার কাঁচা ইট বিছানো। সহসাই পৌরসভার ৩২টি রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। অনেকদিন ধরে বেশির ভাগ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, সাবেক মেয়র হাজি ইসমাইল খোকনের সময় দাতা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত আইইউআইডিপি-২ প্রকল্প-১-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল রায়পুর পৌরসভা।

ওই প্রকল্পের আওতায় পৌরসভাকে প্রায় ১৪টি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই অর্থ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, রাস্তা, নালা ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

যার মধ্যে ৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে এবং ৮ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে যা একেবারে নগন্য বরাদ্ধ।

পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থা কখনো দলীয় বিবেচনায় পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প দেয় না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্য দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে হয়।

সেই আস্থা অর্জন করেই উন্নয়ন কাজ করতে হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। আমার দায়িত্ব নেয়ার চার মাসের মাথায় তিনটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়।

NGSP/CRDP/UGFiii- তিনটি প্রকল্পগুলোর আওতায় শতশত কোটি টাকার কাজ করতে পারবো। রায়পুরের ট্রাফিক মোড় থেকে হায়দরগঞ্জ সড়কটি এলজিইডির তত্বাবধানে হওয়ায় তারাই দেখবেন।

কেন গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি সংস্কার করছেন না আমরা বলতে পারবো না।।

অ বিষয় রায়পুর এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী তাজল ইসলাম বলেন, সহসাই রায়পুর থেকে হায়দরগঞ্জ গুরুত্বপুর্ণ সড়কের ট্রাফিক মোড় থেকে খাজুরতলা দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের কাজ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

Latest Tweets

তারিখ অনুযায়ী খবর

May 2024
F S S M T W T
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31