পেঁয়াজ চাষীদের মাথায় হাত
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশীয় পেঁয়াজ চাষিরা।
বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশী হওয়ায় যেসব চাষী অতিরিক্ত অর্থ খরচা করে পেঁয়াজ চাষ করেছেন এখন তাদের মাথায় হাত।
তারা বলেছেন, এদেশের মানুষ যাতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারায় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে ভারত এখন হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে।
ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ায় এদেশের বাজারে কোন ঘোষণা ছাড়াই ২০ টাকার পেঁয়াজের কেজি একশ’ ২০ টাকায় পৌঁছে যায়।
দেশের কিছু মুনাফাখোড় ব্যবসায়ী হঠাৎ করেই বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী হলেও পেয়াজের দাম ৬০ টাকার নিচে নামেনি।
একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, এই সময়ে চাহিদা পূরণের জন্য বাড়তি খরচা করে চাষীরা পেয়াজ চাষ করে। তারা অতিরিক্ত দামে পেয়াজের বীচ সংগ্রহ করেন, আগাম জমি তৈরী করতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়েছে তাদের।
সপ্তাহখানেক ধরে সেই আগাম পেয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। নতুন পেয়াজ বাজারে আসার কারণে এমনিতেই পেয়াজের দাম এখন ৩০-৪০ টাকায় চলে এসেছে। ঠিক এই সময়ে ভারতও পেয়াজ রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে।
আজ থেকে পেয়াজ আসা শুরু করেছে। চাষীরা বলেছেন, এতে পেয়াজের দাম আরো কমে যাবে এবং যেসব কৃষক বাড়তি টাকা খরচা পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
রাজশাহী চারঘাট উপজেলা ফরিদপুরে কুটার মোড়ের পেঁয়াজ চাষী মামুন আলী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। যা বলে শেষ করা যাবে না।
এতে দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের আর্থিকভাবে লোকশন হবে। বাইরে থেকে পেঁয়াজ আসিলে তারা অতিরিক্ত মুনাফা দাবি করে।
আর দেশীয় কৃষকরা দর বেশি দাবি করলে শুনতে হয় নানান কথা। মামুন বলেন, আমি কতৃপক্ষের কাছে দাবি করছি, দেশে অনেক পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আপতত পেয়াজ আমদানী না করাই ভালো। এতে কৃষক বাঁচবে।