ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে ৭ কোটি মার্কিন ডলার দিবে কানাডা!
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে ৭ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কানাডা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দাতারা অর্থ কমানোর কারণে গেল দু’বছর ধরে সংস্থার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ক্যারিনা গৌল্ড বলেন, পশ্চিম তীর, গাজা, সিরিয়া, লেবানন এবং লেবাননের শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এ তহবিল দেওয়া হবে।
আগামী তিন বছরে প্রতিশ্রুত অর্থ পরিশোধ করা হবে বলেও জানানো হয়।
গেল মাসে সংস্থার প্রধান সতর্ক করে বলেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় নেওয়া কার্যক্রম ইতিহাসের ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি।
এরপরই এ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিল কানাডা। জাতিসংঘ পরিচালিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সেবাসহ ৫৭ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে নানা ধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
বিবৃতিতে গৌল্ড বলেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রয়োজনকে অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। বিশেষ করে বৈশ্বিক মহামারির সময়ে।
তারা চরম দারিদ্র্যতা, খাদ্য নিরাপত্তা সংকট এবং বেকারত্বের মুখোমুখি।
ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে এগিয়ে নেওয়ার সামলি বলেও মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সিরিয়া এবং লেবাননে থাকা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে জরুরি জীবনরক্ষা সহায়তা, মৌলিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনধারণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা দেওয়া সহায়তা বন্ধ করে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার। ২০১৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সহায়তা দেওয়া পুনরায় শুরু করেন।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কানাডা সংস্থায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়। এপ্রিলে করোনা মোকাবিলায় সয়হায়তা হিসেবে ১১ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে দেশটি।
নভেম্বরে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার মতো অর্থ নেই।
নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে ২৮ হাজার কর্মকর্তার-কর্মচারীর বেতন দেওয়ার জন্য ৭ কোটি মার্কিন ডলার তহবিলের আহ্বান জানান তিনি।
ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে ইসরাইল।