শ্রমিক দলের মানববন্ধনে পুলিশের বাধা
রাষ্ট্রায়ত্ব ৬টি চিনি কল বন্ধের প্রতিবাদে পুলিশের বাধার কারণে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে না পেরে পদযাত্রা করেছে শ্রমিক দল।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিলো। অনুমিত না থাকায় অজুহাতে পুলিশ তাদেরকে সেখানে দাঁড়াতে দেয়নি। অথচ, পুলিশের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও পুলিশ অনুমতি দেয়া না দেয়ার বিষয়ে কিছু জানায় নাই।
সকাল ১১টায় বিএনপির এমরান সালেহ প্রিন্স ও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য দাঁড়ালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া এখানে দাঁড়ানো যাবে না।’ এসময় এমরান সালেহ প্রিন্স ও আনোয়ার হোসেন পুলিশের বাধার প্রতিবাদ করে বলেন, সরকার পুলিশকে ব্যাবহার করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। যা সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
পরে পুলিশের অব্যাহত চাপের প্রেক্ষিতে শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স পদযাত্রা করে বিজয় নগরে শ্রম ভবনের সামনে যান এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন।
প্রিন্স বলেন, ‘আমরা দেশের অসহায় চিনিকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সমর্থন জানাতে মানববন্ধন করতে চেয়েছি। পুলিশ আমাদের সেটা করতে দেয়নি। আমরা এহেন ঘটনার নিন্দা জানাই। আমি বন্ধ হওয়া চিনি কলগুলোকে অবিলম্বে খুলে দিয়ে আখমাড়াই শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। এভাবে চিনিকল বন্ধ করে সরকার শ্রমজীবী মানুষের পেটে লাথি মেরে্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে পরনির্ভরশীলতা করার নীল নকশার অংশ বলে আমরা মনে করি।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন বলেন, ‘সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, অমানবিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলো বন্ধ করছে। তাদের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে লক্ষ লক্ষ চিনিকল শ্রমিক তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনকাটাচ্ছে।”
‘‘ আমরা অবিলম্বে বন্ধ চিনিকল খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শ্রমিকরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।”
এ সময়ে চিনিকল শ্রমিক নেতা বাবুল করীম ও খলিলুর রহমানসহ শ্রমিক দলের আবদুল কালাম আজাদ, আবুল খায়ের খাজা, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, জুলফিকার মতিন, কাজী শাহ আলম রাজা, মফিদুল ইসলাম মোহন,মাহবুবুর রহমান বাদল, সুমন ভূঁইয়াসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।