উত্তরের মানুষ তীব্র শীতে নাকাল
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। নদী ভাঙন, প্রচণ্ড খরা আর তীব্র শীত। ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমে এই অঞ্চলে এসবই সাধারণ চিত্র। সব মৌসুমেই এখানকার মানুষের ভোগান্তি চোখে পড়ার মতো। এখন আবার শীত জেঁকে বসছে। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় গ্রাম থেকে শহর, সবই আচ্ছন্ন হয়ে আছে ঘন কুয়াশায়। আর তীব্র শীতে বিপাকে জেলার কয়েকশ’ চরাঞ্চলের মানুষ।
মঙ্গলবারের (৮ ডিসেম্বর) রিপোর্ট অনুযায়ী, কুড়িগ্রামে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রকোপ বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
বুধবার ভোর থেকে গোটা জেলা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তীব্র কুয়াশায় কয়েক হাত দূরের রাস্তাও দেখা যাচ্ছে না। শীত বস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছেন চরাঞ্চলের মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না। ফলে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
আর যারা বাধ্য হয়ে জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সেসব দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো যে যার সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। কারো কারো গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে।
এছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাকগুলোকে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালই ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে টাঙ্গাইলে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।