বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নয় ভেঙেছে বাঙালির হৃদয় মিছিলে-স্লোগানে উত্তাল দেশ
ভাস্কর্যের বিরোধিতার মধ্যে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে রাজধানীসহ সারাদেশ। এ ঘটনার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) পৃথকভাবে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়। ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের বিরোধিতার মধ্যে শনিবার কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার নির্মাণাধীন এক ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ খবর ছড়িয়ে পরলে সারাদেশে বিক্ষোভে নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরে দুই জন সরাসরি অংশ নেন। সে সময় পাহারায় আরও দুই জন ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ আরও জানায়, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত চার জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। শহরতলীর জুগিয়া এলাকায় মাদার শাহ পশ্চিমপাড়ার মাজারের পাশে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা ইবনি মাসউদ (র.) নামে আবাসিক কওমি মাদ্রাসার ছাত্র আবু বকর ও আবু নাহিদকে তাদের শিক্ষক আল-আমিন হোসেন ও ইউসুফ আলী ভাস্কর্য ভাঙায় উদ্বুদ্ধ করেন।
বকর ও নাহিদ যখন ভাস্কর্য ভাঙছিলেন, তখন আল-আমিন হোসেন ও ইউসুফ আলী পাহারা দিচ্ছিলেন।’ গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।
যেখানে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানেই নম্বর প্লেটহীন কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে এক যুবক ফাঁকা গুলি চালায়। এর ২০ গজের মধ্যে পুলিশ মোতায়েন ছিল। গুলির শব্দে পুলিশ এগিয়ে এলে মাইক্রোবাসটি দ্রুত মজমপুরের দিকে চলে যায়। দুটি ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড.খ মহিদ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ভিডিও দেখে তারা ভাস্কর্য ভাঙা দুইজনকে চিনতে পারেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারত সীমান্তের দৌলতপুরের ফিলিপনগর গোলাবাড়ি এলাকার নিজ গ্রাম থেকে সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুনকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
পরবর্তীকালে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদের পালাতেও সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলীকে (২৬) গ্রেফতার করেছে। আল আমিন মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে।
গ্রেফতার দুই মাদরাসাছাত্র পুলিশকে জানিয়েছেন, ইসলামি বক্তা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ান শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করেন।
অন্যদিকে ভাস্কর্য ভাঙায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে ভাস্কর্য বিরোধী ইন্ধনদাতা ও দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পক্ষে জনমত গড়ে তুলার আহ্বান জানানো হয়। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নিন্দা জানানো হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ভাস্কার্যকে ইস্যু করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়েতারা করা হচ্ছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সব চক্রান্ত প্রতিহত করার কথা বলেছি।
এদিকে ভাস্কর্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করার কারণে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক গংদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করতে অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জিশান মাহমুদ। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এই আবেদন দেওয়া হয়।
মো. জিশান মাহমুদ বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৯৬ ধারার বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আমলে নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন সংগঠন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এবং বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করেছে।
এছাড়া যুবলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিকলীগ আলাদা আলাদা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসব কর্মসূচিতে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠছে রাজধানীর জিপিও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ গুলিস্তান এলাকায়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের কাপুরুষ অভিহিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
পরে হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল মামুনুলের। কিন্তু স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে তাকে ছাড়াই মাহফিল হয়। ওই মাহফিলের প্রধান অতিথি হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, ‘‘যেকোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া’ হবে।’’
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সকল ভাস্কর্য রক্ষায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন আইনজীবী উত্তম লাহেরি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এরপরই যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজন ওই ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করবে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। এজন র্যাব, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ শুরু করেছে। যারা এ ধরনের কাজ করছে বা উসনকানি দিচ্ছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘দেখতে পেলাম একজন মামুনুল হক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করে চ্যালেঞ্জ করছেন। শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। মাথায় কি বুদ্ধি কম? শেখ হাসিনা তো অনেক ওপরের বিষয়। সারা দেশে যুবলীগের সঙ্গে লড়ে দেখেন। আসেন, দেখেন, খেলা হবে।’
অন্যদিকে জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন- ‘তোরা দিনের বেলা আসিস, তোদের ঈমানি শক্তি কত দেখবো’। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
জয় বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের প্রতিটি জনগণের হৃদয়ের অবস্থান করছে। ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে জনগণের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরে রাখা যাবে না। এ সময় দেশের যেকোনো ওয়াজ মাহফিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান করার নির্দেশনা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবেন না। যদি কেউ বলেন, জাতির জনকের অবমাননা করেন, তাহলে সেই দেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবেন না। তাদের ঠিকানা হবে কারাগারে বা ফাঁসির কাষ্ঠে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই এবং এই ঘটনার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মাঠে আছে জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করছে, মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, সেই মৌলবাদী মহল বিএনপি-জামায়াতের মদদে ভাস্কর্য ভেঙেছে। তাদের ক্ষমা করা যাবে না।’
এদিকে ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
এসময় সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘একাত্তরে এই মৌলবাদী অপশক্তিকে মুক্তিযোদ্ধারা জবাব দিয়েছে, এখন আবার তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তারা আবার সা¤প্রদায়িক উগ্রতা দেখাতে চাইলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। আগামীকাল মহানগর উত্তরেরর প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারাই জড়িত ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শাস্তি পেতেই হবে’। গতকাল ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।
ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশব্যাপী ধর্মীয় বিভেদ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননা দেশের চেতনার মর্মমূলে আঘাত হানা’।