মার্কিন-ইহুদি তরুণদের ৩৭ শতাংশই হামাস সমর্থক
দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী।
আর এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই দেশে বসবাসকারী মার্কিন-ইহুদি তরুণদের এক-তৃতীয়াংশের বেশিই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
ইসরাইলের প্রবাসীকল্যাণ ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের করা জরিপেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
শনিবার ইসরাইলি জরিপের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি মার্কিন-ইহুদি তরুণদের ৩৭ শতাংশই হামাস সমর্থক।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ‘আমি হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল’ এ বক্তব্যকে ‘সমর্থন’ বা ‘শক্ত সমর্থন’ দিয়েছেন ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ মার্কিন-ইহুদি তরুণ।
এছাড়া ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসকারী ইহুদি তরুণদের মধ্যে ৭ শতাংশ।
এদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন-ইহুদি তরুণদের বড় একটি অংশ এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যে, ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।
এ হার ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসকারী ইহুদি তরুণদের মধ্যে এ হার ১০ শতাংশ।
বিস্ময়কর হলো- মার্কিন-ইহুদি তরুণদের উল্লেখযোগ্য অংশ শুধু যে হামাসের প্রতিই সহানুভূতিশীল তা নয়।
তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (৬৬ শতাংশ) সার্বিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ব্যাপারেও সহানুভূতিশীল।
জরিপে এও দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইসরাইলপন্থি মনোভাব পোষণ করে।
যেমন ৬২ শতাংশ মার্কিন-ইহুদি তরুণ নিজেদের ইহুদিবাদী বলে বিবেচনা করেন।
অন্যদিকে ৮৪ শতাংশ বলেছে, ‘একটি ইহুদি রাষ্ট্র’ হিসাবে ইসরাইলের টিকে থাকার অধিকার রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ। হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার অজুহাতে ওই দিন থেকেই গাজায় নারকীয় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
তাদের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
তবে গাজার চিকিৎসকদের অনুমান, নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা এক লাখের বেশি। চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলছে, এ সংখ্যা এক লাখ ৮৬ হাজার বা এর বেশি।