প্রেগন্যান্সিতে আদা খেলে হতে পারে বিপদ
বাঙালীদের হেঁশেলে আদা একটি অন্যতম উপাদান। নানা ওষধি গুণ থাকায় আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আদা ছাড়া শুধু চা নয় অনেক খাবারের স্বাদই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু একথাও স্বীকার না করলেই নয় যে মাত্রাতিরিক্ত আদা খাওয়া কিছু মানুষের জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক সেসব বিষয়। আদার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে আদা আমাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেগুলো এড়ানোর উপায় কী জেনে নিন।
বমি বমি ভাব
আদা খাওয়াকে সাধারণত বমি বমি ভাব কমাতে কার্যকর বলে মনে করা হয়।
তবে কিছু মানুষের মধ্যে এটি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে।
মুখের মধ্যে জ্বলন্ত সংবেদন
ক্যাপসাইসিন নামক এই উপাদান আদার মধ্যেও পাওয়া যায়। এই একই যৌগ মরিচের মধ্যেও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত পরিমাণে আদা থাকলে এটি মুখে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।
ডায়রিয়া সমস্যা
খাবারে অত্যধিক আদা অন্তর্ভুক্ত করলে ডায়রিয়াও হতে পারে। এই কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আদা কিছু ওষুধের সাথে মিলিত হলে পাঁচনতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত কোনো ওষুধ খান, তাহলে আদা খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।
ত্বকের জ্বালা
আদার তেলে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা কিছু মানুষের ত্বকে জ্বালাতন করতে পারে। আদার তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে ত্বকে জ্বালা, লালভাব বা চুলকানি হতে পারে।
আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর উপায়
সীমিত পরিমাণে আদা খান। প্রচুর পরিমাণে আদা সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
আদার তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে জ্বালা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত। সীমিত পরিমাণে আদা খাওয়া শরীরের জন্য কার্যকরী।
যা আপনাকে ঠাণ্ডা ও অন্যান্য অনেক ছোটখাটো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের আদা খাওয়ার আগে তাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।