খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সিসিইউর সুবিধাসংবলিত কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রল কবির খান।
এদিকে দলীয় চেয়ারপারসনের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
এর আগে সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করা হয়েছে। তার আগে একই হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২ জুলাই গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ২৫ জুন একই হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। এর আগেও বিএনপি চেয়ারপারসন একাধিকবার অসুস্থ হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি তাকে বাসায় নেওয়া হয়। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।