গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন এমন অনেকেই হয়তো নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। তাঁদের হয়তো খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
পানি থেরাপি : সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করুন। পানি পানের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর নাশতা করুন।
আধা সিদ্ধ ভাত বর্জন : অনেকেই আধা সিদ্ধ বা শক্ত ভাত খান। মনে রাখতে হবে, শক্ত ভাত হজম করতে পাকস্থলীকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।
ফলে পেটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। আর তখনই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হয়। নরম ভাত খাওয়ার অভ্যাসের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
অধিক তেল-মসলা নয় : অনেকেই মনে করেন, তেল-মসলা বেশি না দিলে খাবার সুস্বাদু হয় না। এটা কিন্তু ভুল ধারণা এবং পাকস্থলীর জন্য বিপজ্জনক।
বরং বেশি তেল-মসলা ও ভুনাজাতীয় খাবার পরিহার করে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া পাকস্থলীর জন্য উপকারী খাবার দই, পেঁপে, লাউ, শশা প্রভৃতি নিয়মিত খেতে পারেন।
ভাজাপোড়া খাবার নয় : ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খেলে আগে সমস্যা হয়তো হয়নি, এখন হচ্ছে। এমন হওয়ার কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।
তাই ঘরের বাইরে তৈরি এবং বারবার ব্যবহার করা তেলে ভাজাপোড়া খাবার স্বাদে মজাদার হলেও পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং ভাজাপোড়া খাবার নয়।
খাওয়ার পরপরই শোয়া নয়: দুপুরে ও রাতে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শোয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এটা আরামদায়ক অভ্যাস হলেও তা দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় এটি। খাবার হজম হতে বাধা দেয়। তাই খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর শোয়ার অভ্যাস করুন।
কোনো বেলার খাবার বাদ দেবেন না : সকালের নাশতাসহ কোনো বেলার খাবারই দেরিতে করবেন না বা বাদ দেবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করুন।