বোরহানউদ্দিন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় সুপারসহ ৩টি পদে নিয়োগের অনিয়ম, দুর্নীতিসহ ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে মাদ্রাসার কমিটির সসদ্য ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
অভিযোগ এ জানাজায় ,বোরহানউদ্দিন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সুপার, পিয়ন, আয়া এ ৩টি পদে জনবল নিয়োগের দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাঁচশত/দুইশত টাকা ব্যাংক ড্রাফট-এর মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হলেও অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ ণ ম আব্দুল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সুপার পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নিয়োগবিধি উপেক্ষা করে নানা অসাধু উপায় অবলম্বন করেন। পরিক্ষা নেওয়া হয়েছে কোথায় তা জানেন না নিয়োগ প্রার্থীরা ও নিয়োগ বোর্ড এর সদস্য বা মাদ্রাসার কমিটির সদস্যরা।
আরো জানাজায় , মাদ্রাসার সভাপতি আ ন ম আব্দুল্লাহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাদ্রাসার কমিটির বা নিয়োগ বোর্ড এর সদস্যদে কাউকে না জানিয়ে না বলে পরিক্ষা নেওয়া হয়ে গেছে নিয়োগ হয়েছেন এই তিন জনের।
নিয়মবহির্ভূতভাবে দূনীর্তি করে নিয়োগ দেওয়া হয় মাদ্রাসার সুপার, অফিস সহকারী ও আয়া পদে মোট তিনটি পদে তিন জনকে ।
উপযুক্ত কয়েকজন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ কে সুপার, মাদ্রাসার সভাপতি আ ন ম আব্দুল্লার পছন্দমত একজনকে আয়া এবং সভাপতি আ ন ম আব্দুল্লাহ ও সুপার এর পছন্দ মত একজনকে টাকার বিনিময়ে পিয়ন পদে নিয়োগের জন্যে নির্বাচিত করা হয়। যারা প্রত্যেকে সভাপতির এবং অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ লোক।
মাদ্রাসার পরিক্ষা সময় দায়িত্বে থাকা সুপার সাথে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে অনিয়মের কিছুই হয়নি। যা কিছু করা হয়েছে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্তেই করা হয়েছে।
বিষয়গুলো নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন সুপার
সাথে কথা হলে ঘুষ এবং পরীক্ষার অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সবকিছু নিয়োগ বোর্ডের উপর চাপিয়ে দিয়ে বলেন, এসব বিষয়ে আমি কোনো উত্তর দিতে রাজি নই। সবকিছুর বিষয়ে নিয়োগ বোর্ড সভাপতি জানে।
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নিয়োগ বোর্ড এর সদস্য সচিব কে এম সামছুদ্দিন বলেন , নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম না, জানিনা নিয়োগ যে কবে হবে।পরিক্ষা কবে হবে না ও যানাইনি আমাকে।সব সভাপতি বলতে পারে।
অন্যদিকে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কালাম বলেন, একদিন অধ্যক্ষ বর্তমান সুপার নাম ফোন দিয়ে বলে আব্দুল্লাহ স্যার সহ সবাই এতে মিটিং এ কথা হয়ে ছিলো সুপার নিয়োগ দেওয়া হবে। সাথে আরো দুইজন নিয়োগ দেওয়া হবে।
পাঁচ সদস্য কমিটি লাগবে আপনাকে ও একজন সদস্য রাখছি।আমি বলি ভালো কথা। এই পাঁচ জন এ যাচাই বাছাই করবে।নিয়োগ বোর্ডে থাকবে পরিক্ষা নিবে।এখানে একজন ডিডির প্রতিনিধি থাকবে।
এর কিছু দিন পরে আমি অধ্যক্ষকে বল্লাম খবর তবর তো পাইলাম না। সে বলে ডিডির প্রতিনিধি আসছে । আপনে তো ছিলেন না।আমরা ছিলাম সে আমাদের সাথে মিল করে নিয়ে গেছে।তো আমরা জানলানম না এই আবার কেমন পরিক্ষা।
সে বলে আমাকে সুপার পদে নিয়োগ দিয়েছে।আর আমি মাদ্রাসার সার্থে একজন নিয়োগ দিয়েছি।সে কম্পিউটার চালাতে পারে অন্য কাজ ও করতে পারবে।
অত্র মাদ্রাসার ডোনার সদস্য ও স্থানীয় অভিবাবগনসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগনের সাথে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, শুনেছি নিয়োগ পরিক্ষ ছাড়া এ দূনীর্তির ও নিয়োগে বিভিন্ন রকম অনিয়ম এর মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি।
এবং এই নিয়োগে টাকা-পয়সার বিনিময়ে হয়েছে। আগামীতে যেনো এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনোরকম ঝামেলা না হয় সেজন্যে তারা পরিপূর্ণ তদন্তসাপেক্ষে এর সমাধান চান তারা।
নিয়োগ বোর্ডের একমাত্র মহিলা সদস্য কোহিনূর বেগম বলেন,আমি নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য। পাঁচ জন এর মধ্যে আমি একজন মহিলা সদস্য। কোনদিন নিয়োগ হইছে তা আমি জানিনা।কি ভাবে নিয়োগ হয়েছে তা আমি বলতে পারবোনা।
নিয়োগ বোর্ডের আরেক সদস্য ,,,,,,,,,, পোল্টু বলেন,জানি তো নাই যে, তার পরে ও একটা অভিযোগ হলো, যে আমাদের কাছে কাগজ নিয়ে আসছে স্বাক্ষর এর জন্য আমি বলি কিসের স্বাক্ষর। বলে, নিয়োগ হইছে তাই তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য।
আমি বলছি না আমি স্বাক্ষর করবো না।যে আমরা জানিনা শুনিনাই কিসের জন্য এখানে স্বাক্ষর করবো। সরকারি কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি এটা কি ভাবে সম্ভব।
কি করে কী করলেন অল সভাপতি সাব দায়দায়িত্ব নিয়ে করেছেন।আমি একজন সদস্য আমি এ জানিনা। অথছ আমার ঘরের সাথে মাদ্রাসা আমি এ জানিনা, আর দুর এর একজন সদস্য কি ভাবে জানবে।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সভাপতি,,আ ন ম আব্দুল্লাহ এই প্রতিবেদকে বলেন, নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এই নিয়োগ এর সময় আমি অসুস্থ ছিলাম।পরে এক সময় আমার কাছে এসে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে।এর বেশি আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার না থাকাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা শিক্ষা অফিসার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ছিলাম কিন্তু আমি কিছুই জানিনা বলে তি বিষয় এৱিয়ে যান।