‘বিদেশিদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ আমরাই করে দিচ্ছি’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আমেরিকার ভিসানীতি আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। কারণ তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে।
তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ওই সব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন।
এ কারণেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্ত হবেন।
জিএম কাদের বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক।
আমেরিকার ভিসানীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই বিশ্বাস করে, নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছে।
এতে অন্য কোনো দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল।
তাই বিদেশিদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায় আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে।
সেই সুযোগটা আমরাই তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মীমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।
তিনি বলেন, জবাবদিহিতামূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃঙ্খল ও নীতি থাকে।
কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না- তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরি হয় তখন কোনো গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশিরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করত না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারত না।