সোলাইমানি হত্যার বার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার দাবি
ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রথম বার্ষিকীতে রোববার বাগদাদে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
এসময় তারা বাগদাদের আশপাশের এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পদযাত্রায় হাজারো মানুষ হেঁটে বাগদাদ বিমানবন্দর এলাকায় যান। কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের হত্যার স্থলে লাল রশি দিয়ে মাজারসদৃশ বানানো হয়েছে।
সেখানে নিহত দু’জনের ছবির পাশে মোমবাতি প্রজ্ব্বালন করা হয়।
সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রথম বার্ষিকীতে সপ্তাহব্যাপী শোকসভার আয়োজন করেছে ইরান।
ইরান হুঁশিয়ার করেছে, সোলাইমানির হত্যাকারীরা পৃথিবীতে নিরাপদ নয়। শোকের মাতম দেখা গেছে সর্বত্র।
ইরাক ও লেবাননেও দিনটি উপলক্ষে স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
হামলায় ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরও ৮ কমান্ডার মারা যান।
এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। আজও এ হত্যা মেনে নিতে পারেনি ইরান। দেশটিতে মোমবাতি প্রজ্বালন, শোক সংগীত, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে স্মরণ করা হচ্ছে সোলাইমানিকে।
সে সঙ্গে তার হত্যাকারীদের শিগগির শাস্তি দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছে ইরানের শীর্ষ নেতারা।
দেশটির প্রধান বিচারপতি বলেন, হত্যাকারী বা হত্যার নির্দেশদাতা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, সে নিরাপদ নয়। যদি সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও হয়, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, সোলাইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী।
কাসেম সোলাইমানি ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সের সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল ইরানের বাইরে ইরাক, লেবানন ও সিরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা।
তাকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
খবর এএফপি ও আলজাজিরার