চাকরি দিয়ে তরুণদের দেশে রাখার ব্যবস্থা করছি-প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
‘পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরির লক্ষে সঠিক তথ্য, প্রশিক্ষণ, অভিবাসন ব্যয় মেটাতে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
২০২১ সালে ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২২ সালে ২২ লাখ ৩০ হাজার, ২৩ সালে ২৩ লাখ ৩০ হাজার, ২৪ সালে ২৪ লাখ ২০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার‘, যোগ করেন এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ধাক্কায় সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হবে নতুন পরিকল্পনায়।মন্ত্রী বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে দারিদ্র্য সমস্যা মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এসব জেলাগুলোতে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধির জন্য কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ সেবার ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এই ধারাবাহিকতায় ২০২১ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ, ২০২২ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০২৩ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ধরে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান এম এ মান্নান