নেতাকর্মীদের অনুরোধে পদত্যাগ করছিনা: মেজর হাফিজ
আক্রমণাত্মক ভাষায় শোকজ করায় অপমাণিতবোধ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি শোকজ পাওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগের চিন্তা করেছিলেন জানিয়ে বলেন, ভেবেছিলাম পদত্যাগ করব, আমার সাবেক কলিগ-বন্ধুরাও বলেছিলেন পদত্যাগ করতে। কিন্তু আমার নেতাকর্মীরা আমাকে অনুরোধ করেছেন যাতে পদত্যাগ না করি।
তাদের অনুরোদায়িত্বপালনে অপারগতা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১৯ ডিম্বেবর) বনানীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
ধের কারণে আমি পদত্যাগ করলাম না। আমি যে ব্যাখা দিয়েছি সেটি কিভাবে তারা নেয় তা দেখতে চাই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় দিবসগুলোতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো।
গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানেও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি।
বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে যোগদানের আগেই আমি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম।
১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হই। এরপর বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম। গত ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি।
দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।
এখানে প্রটোকল এবং সৌজন্যের ব্যত্যয় ঘটেছে।হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘আমার নামের ভুলসহ নানা ভুলে ভরা আক্রমনাত্মক ভাষায় যে চিঠি রুহুল কবির রিজভী আমাকে দিয়েছেন, আমি তাতে হতবাক।
জিয়াউর রহমান থাকলে এটা নিয়ে তিনি নিজেও লজ্জা পেতেন। তিনি বলেন, বরাবরই আমি বিএনপিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছি।
জেল থেকে বেগম জিয়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার। আমি সেটি করেছি।
কিন্তু তারাই আমার বিরুদ্ধে বলেন, আমি সংস্কারপন্থী, আমি ভাঙার পক্ষে। এর চাইতে দুঃখজনক, লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় অংশ নেন দলটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ।
ওই অনুষ্ঠান শেষে কিছু নেতাকর্মী পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া হঠাৎ বিক্ষোভের পেছনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন দলের অনেক সিনিয়র নেতা। পরে তাদের শোকজ করা হয়।