চার লাখ টাকা ১৪ মণ ওজনের রাজার দাম
প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ ‘রাজাকে’ দেখতে ভিড় করে বাড়িতে। কারণ দুই বছরে খেয়েদেয়ে রাজার ওজন এখন ১৪ মণ। এজন্য তাকে ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। শখ করে গরুটির নাম রাজা রেখেছেন তার মালিক।
অবশ্য এর আগে ১৪ মণ ওজনের গরু দেখেননি এখানকার মানুষ। এজন্য অনেকে মোবাইলে ছবি ধারণ করে রাখছেন। রাজার দাম চার লাখ টাকা। এবারের কোরবানির ঈদে চার লাখ টাকা হলে রাজাকে বিক্রি করবেন তার মালিক।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মাজেদ বিশ্বাস গত দুই বছর দুই মাস ধরে লালন-পালন করছেন একটি সিন্ধি জাতের গরু। বর্তমানে লাল রঙয়ের গরুটির উচ্চতা ৫০ ইঞ্চি আর লম্বা ৯০ ইঞ্চি। ওজন ১৪ মণ।
নগরঘাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাজেদ বিশ্বাস বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে রাজাকে বিক্রি করব বলে দুই বছর দুই মাস ধরে লালন-পালন করছি। ফিতা দিয়ে রাজার উচ্চতা মেপেছি। উচ্চতা ৫০ ইঞ্চি আর লম্বা ৯০ ইঞ্চি। ওজন ১৪ মণ। চার লাখ টাকা হলে রাজাকে বিক্রি করব। তবে এখনও ক্রেতা আসেনি। রোববার ক্রেতা আসবে।
তিনি বলেন, অনলাইনে গরুটি আমি বড় কোনো ব্যবসায়ী বা কোরবানির জন্য বড় কোনো ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে চাই। তবে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। গরুটি এখনও পশুর হাটে নিয়ে যাইনি। বড় গরু তাই পশুর হাটে নিয়ে যাব না। বাড়িতে রেখেই বিক্রি করব।
মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে তৌহিদুজ্জামান বলেন, বাড়িতে আরও পাঁচটি গাভি গরু রয়েছে আমাদের। ষাড় একটাই। তাই নাম দিয়েছি রাজা। তাকে বিক্রির জন্য অনলাইনে ছবি দেয়া হয়েছে। রাজাকে দেখতে এসে সবাই ছবি তুলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরায় এবার কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৩০০ পশুর। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৬০ ও ছাগলের সংখ্যা ২১ হাজার ৭৪০। কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৯ হাজার ২৩৭ গরু ও ছাগল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় খামারির সংখ্যা ১২ হাজার ৭৬১ জন। এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনের মাধ্যমে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি পশুর হাট বসছে। কোনো খামারি যদি পশু বিক্রি করতে ব্যর্থ হন তবে পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নেব।