মেদ কমাতে যেভাবে খাবেন আদা
ওজন কমাতে ও নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তেল-মশালাদার খাবার বর্জন করা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পরিমিত খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর সঙ্গেই যদি আদার বিশেষ পানীয় সকালবেলাতেই এক কাপ খাওয়া যায়, তাহলে কাজ হবে দ্রুত। আদা নিয়মিত খেলে ওজন কমে, সম্প্রতি একটি গবেষণা এমনই তথ্য দিয়েছে। এই গবেষণায় আদার একটি রেসিপির কথা বলা হয়েছে। এটি বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। আর তা বাড়া মানেই দ্রুত ক্যালোরি ক্ষয়, যা আদতে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আদায় থাকা উপকরণ খাবার হজমেও সাহায্য করে, যার ফলে পেট ফোলার মতো সমস্যায় কমানো যায়।
তাহলে জেনে নিন ওজন কমানোর সহজ সেই রেসিপিটি
উপকরণ
আদা বাটা ১ কাপ
লেবু ১ টি
পানি আড়াই কাপ
মধু ১ চামচ
পদ্ধতি
এক কাপ ফুটন্ত জলে বেশ কিছু আদা বাটা মেশাতে হবে। এবার সেটি স্বাভাবিক তাপে আরো ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে অন্তত ২০ মিনিট ঠাণ্ডা করে ছাঁকতে হবে। সেই মিশ্রণের সাথে লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নাড়তে হবে।
ফ্রিজে রেখে নিয়মিত খেতে হবে।
কখন খাবেন?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদার এই পানীয় পান করলে ভালো কাজ করবে। সারাদিনে একাধিক বারও পান করা যায়। ওজন কমাতে পাতিলেবুর রসেরও বিশেষ ভূমিকা থাকে। এতে থাকা ভিটামিন-ই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আদার বৈজ্ঞানিক গুণাগুণ
রান্নার কাজে আদা ব্যবহৃত হচ্ছে হাজার বছর ধরেই। কিছু গবেষণা বলছে, রোগ প্রতিরোধের জন্য আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এ ছাড়া আদা ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে এবং রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা লেগেই থাকে সারাবছর, তারা আদা খেলে উপকার পাবেন। শুধু মেটাবিলজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করাই নয়, এই পানীয় হজমে সহায়তা করে, বমি ভাব কমায়, পেটে ফাঁপা বা পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। আদায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। কাশি কমাতেও আদার এই পানীয় উপকারী। এ ছাড়া শরীরের পোড়া অংশে আদা থেতলে লাগালে জ্বালাপোড়া ভাব দূর হয়। যেকোন ব্যথা বিশেষ করে বাতের ব্যথা দূর করার জন্য আদাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে।
হজমশক্তি বাড়ায়
হজমশক্তি বাড়াতেও আদার জুড়ি নেই। গ্যাষ্ট্রিক থেকে পেটে ব্যথা হয় অনেকেরই। সেক্ষেত্রে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। আদা খেলে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা থাকে না।
বমি বমি ভাব কমায়
অনেক সময় বমি বমি ভাব অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে গর্ভকালীন এই সমস্যা অনেক মেয়েদের একেবারে কাবু করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে আদা অত্যন্ত উপকারী। এই রেসিপিটি দিতে পারে বমি কিংবা বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আদার আরো একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এটি।
কতটা পান করা উচিত
আদার পানীয় উপকারী বলেই তা কিন্তু দিনভর বার বার খাওয়া যাবে না। বড় জোর দুই বার। কারণ, কোনো জিনিসই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত আদার পানীয় শরীর বেশি গরম করে দিতে পারে। বুক জ্বালা, পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। দ্রুত ওজন কমানো সহ কিছু শারীরিক সমস্যায় এই রেসিপিটি দিতে পারে সহজ সমাধান। এটি নিয়মিত খেলে নিজেই নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।