ব্রেকিং নিউজঃ

২৮ অক্টোবরের ঘটনা যেভাবে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির এক নেতা নিহতের পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওইদিনের সংঘর্ষে হতাহতসহ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে খবরাখবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের প্রধান দুই দলের রাজপথের এ উত্তাপ উঠে এসেছে তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে।

ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি এ বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গত শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের দুটি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এক লাখের বেশি সমর্থক সমাবেশ করেছেন।
সহিংসতা রোধে কমপক্ষে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শত শত বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

পরদিন রোববারও একাধিক স্থানে সহিংসতা হয়েছে। সহিংসতা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শতাধিক শীর্ষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির একজন প্রধান নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দলটির সদস্যের সহিংস সংঘর্ষের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সহিংসতায় অন্তত তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সহিংস বিক্ষোভে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে শনিবার রাজধানী ঢাকায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ হয়।

এই বিক্ষোভকালের ছবি-ভিডিওতে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করতে দেখা যায়। এদিন পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। একাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় সরকারবিরোধী বড় সমাবেশের পর দিন গতকাল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, পুলিশের হস্তক্ষেপের আগপর্যন্ত শনিবার বিরোধীদের সমাবেশ ‘শান্তিপূর্ণ’ ছিল।

ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় শনিবার বিকেলে বিরোধীদের একটি বড় সমাবেশ ছত্রভঙ্গে করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পাথর ও ইট ছুড়ে পাল্টা জবাব দেন। বিক্ষোভস্থলের চারপাশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ বিরোধীদলীয় নেতা ও তার দলের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকায় সমাবেশ করেন। সেদিন একজন পুলিশ কর্মকর্তার পাশাপাশি একজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। ৭৫ বছর বয়সী মির্জা ফখরুলকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

Latest Tweets

তারিখ অনুযায়ী খবর

May 2024
F S S M T W T
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31