অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির মূত্রথলি কেটে ফেলার অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি কুলসুম বেগমের (২৫) মূত্রথলি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. বিপুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই প্রসূতি মাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২ ডাক্তারসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে গৌরনদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কুলসুম বেগমের ভাই উপজেলার কটকস্থল গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন কুলসুম বেগমের (২৫) প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে গত শনিবার দুপুরে গৌরনদী ডক্টরস ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় ডা. বিপুল বিশ্বাস প্রসূতিকে জরুরিভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন। পরে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. বিপুল বিশ্বাস, তার সহযোগী ডা. রামেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আমার বোনের সিজার করেন।
পরবর্তীতে বোন কুলসুম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নবজাতক কন্যাসন্তান সুস্থ রয়েছে।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় ডা. বিপুল বিশ্বাস আমার প্রসূতি বোনের মূত্রথলি কেটে ফেলেছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনের আল্ট্রাসনোগ্রামে বিষয়টি ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে ওই ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ভালো বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ডা. বিপুল বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে তার (বিপুল) সহযোগী ডা. রামেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার বলেন, গর্ভফুল বাচ্চার আগে ও মূত্রথলির উপরের অংশে গেলে প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় বেশি রক্তক্ষরণ হয়। এতে রোগীর প্রেসার কমে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রোগীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে প্রসূতির স্বামী বাদী হয়ে ডা. বিপুল বিশ্বাস, সহযোগী ডা. রামেন্দ্র মজুমদারসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার বিকালে গৌরনদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।