হেফাজতে মৃত্যু: বরখাস্ত ২ পুলিশকে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ
রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশ হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন (জনি) নামে এক যুবকের মৃত্যুর দায়ে বরখাস্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে জরিমানার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানকে জরিমানার ১ লাখ টাকা করে এবং সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের সোর্স রাসেল ও সুমনকে জরিমানার ২০ হাজার টাকা করে আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি আসামিদের রিভিশন আবেদন শুনানি করার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে এ মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এসএম রেজাউল করিম।
পল্লবী থানায় পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যুর দায়ে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া তিন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামি পুলিশের সোর্স (তথ্যদাতা) সুমন ও রাসেলের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ রায় দেন। দণ্ডিত আসামি এএসআই কামরুজ্জামান এখনো পলাতক রয়েছেন।
আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, দণ্ডিত আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। আদালত রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে। এরপর আসামিরা হাইকোর্টের পৃথক পৃথক বেঞ্চে জামিন আবেদন করে। তখন রিভিশন শুনানি ও জামিন আবেদন একই বেঞ্চে শুনানি করার জন্য আমরা (বাদীপক্ষ) প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করি। প্রধান বিচারপতি আমাদের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আসামিদের রিভিশন আবেদন ও জামিন আবেদন শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন।
আইনজীবী বলেন, এ কোর্টে আসামিপক্ষ বুধবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করতে চাইলে আমরা আদালতকে বলেছি, আসামিদের আপিল ও জামিন আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়নি। এসআই জাহিদ ও এএসআই রাশেদুল ক্ষতিপূরণের ২ লাখ টাকা করে প্রদান করলেও জরিমানার ১ লাখ টাকা করে পরিশোধ করেনি। তাই আমরা আদালতকে বলেছি, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি চলতে পারে না।