পুলিশের সহযোগীতায় ঘরে ফিরলো দূতাবাস কর্মকর্তার স্ত্রী
বাংলাদেশে অবস্থিত একটি দেশের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে হয়রানি করে আসছিলেন। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকা ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তালাক দেবেন বলে ঘর থেকে বের করে দেন। একপর্যায়ে অসহায় ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় নিজের স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেন ওই দূতাবাস কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।
এআইজি সোহেল রানা জানান, গত ২৬ এপ্রিল সকালে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ -এর ইনবক্সে এক নারী বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী বাংলাদেশে অবস্থিত ইউরোপিয়ান দেশসমূহের একটি দেশের দূতাবাসে চাকরি করেন। বিয়ের পর থেকে তাকে নানান ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কও রয়েছে। এমনকি স্ত্রীকে সামনে রেখেই তিনি অন্য মেয়েদের সঙ্গে অনলাইনে সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই দিনই (২৬ এপ্রিল) তালাক দেয়া হবে বলে ওই নারীকে বেরিয়ে যেতে বলে তার স্বামী ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারী সহযোগিতা চেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে বার্তা প্রেরণ করেন। বার্তায় তিনি বিশেষ করে অনুরোধ করেন যেন তার সংসারটি না ভাঙে এবং তিনি যেন তার স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে সংসার করতে পারেন।’
বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলামকে নির্দেশনা দেয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। ওসির উদ্যোগে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থানার একটি টিম ওই নারীর দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে তাকে বাড়িতে তুলে দেয়।
পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সেই ব্যক্তি নিজের ভুল স্বীকার করে স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। এ বিষয়ে থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন ওই নারী।
ঘটনার কয়েকদিন পর মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছে, তারা এখন ভালো আছেন। স্বামীর উপস্থিতিতে ওই নারীকে বলা হয়েছে যেকোনো নিপীড়ন ও অন্যায় রোধে বাংলাদেশ পুলিশ তার পাশে রয়েছে।