জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি
বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানী ঢাকায় থাই হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ‘সাসটেইনেবল ফান্ডিং ফর হেলথ প্রমোশন’ শীর্ষক ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুদিনব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলনে সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারীরা এ দাবি করেন।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন থাই হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রাকিত ভাতিসাতোগকিত, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা মুজাফফর হোসেন পল্টু , হেলথ ব্রিজ এর অঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন।
সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নে আামাদের ধারাবাহিক দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজন।
আমরা আমাদের চিকিৎসা ব্যয় বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বরং আমাদের চিকিৎসানির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
মুজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, আামাদের গবেষণায় আরো বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এককভাবে জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব নয়।
আমাদের পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি-বায়ুর নিশ্চিয়তার প্রয়োজন।
‘ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ করতে হবে।
কারণ পরিবেশের সাথে স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি যুক্ত। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এখন বিস্তৃতভাবে ভাবতে হবে।
দেবরা ইফরইমসন বলেন, নাগরিকের শুধু চিকিৎসা নিশ্চিত করাই নয়, সরকারের অন্যতম দায়িত্ব প্রতি নাগরিকের সুস্বাস্থ্য রাখা।
সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি শারিরীক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো জড়িত। সুস্থ থাকার জন্য নির্মল পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি, খাবার এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করছে। তবে পৃথক একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন যারা চিকিৎসা সেবার বাইরে জনগণের সুস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলোর জন্য সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের কথা ভাবা যায়।
দুই দিন ব্যাপি সম্মেলনে ৩টি প্ল্যানারি, ৬টি প্যারালাল (সমান্তরাল), ১টি অংশগ্রহণমূলক এবং ১টি গণমাধ্যমের সাথে শেয়ারিং সেশন আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০০ এরও অধিক ব্যক্তি এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। এ সম্মেলনে ৪৫ জন অতিথি আলোচক উপস্থিত ছিলেন।