ভোলা প্ৰেসক্লাব তুমি কার!
সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন ‘প্রেসক্লাব’। সেটা হতে পারে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ে।
মূলত যারা সমাজের অবহেলিত, নিপীড়িত, দুর্ণীতি, অপরাধ নিয়ে দেশ কিংবা এলাকার মানুষের কল্যাণে নিজেদের সবটা বিলিয়ে দেন তারা ‘সাংবাদিক’ বা বলতে পারেন সংবাদকর্মী।
সংবাদকর্মীরা হচ্ছেন প্রথম সাড়ির সম্মুখযোদ্ধা। যাদের কলমের লিখনির মাধ্যমে উঠে আসে সকল প্রকার অপরাধের চিত্র। যা নিয়ে নিত্যনতুন ইস্যুতে মেতে উঠে পাঠক।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। কারণ, এই সময়ে সংবাদকর্মীদের কাজের মূল্যয়ন নেই প্রেসক্লাবের বিভিন্ন পদে থাকা সংগঠকদের কাছে!
যারা প্রেসক্লাবের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকেন তারা পদটিকে বাপ-দাদার সম্পত্তি হিসেবে মনে করেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে? কেউ যদি প্রশ্ন করে কেন? তবে উত্তরটা খুব সহজ!….?
পরিবর্তন হচ্ছে সবকিছুতেই। নের্তৃত্বে আসছে তরুণদের হাতে। শক্ত হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থানের সবটা।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য! তার কোনটাই হচ্ছে না আমাদের সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন ভোলা প্রেসক্লাবে। এখানে নতুন নের্তৃত্ব মানে স্বপ্ন! ।
ভোলা প্রেসক্লাবে যারা নের্তৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দুই এক জন প্রবীণ হলেও অধিকাংশই নবীন কিন্তু অধিকাংশ সিনিয়ৱ সাংবাদিকদেৱই কনিটিতেই ৱাখা হয়নি? কিন্তু কেন।
যেখানে জাতীয় পর্যায়ে তরুণ সংবাদকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেখানে ভোলা প্রেসক্লাবের নের্তৃবৃন্দরা নিজেদের পদ-পদবি টিকিয়ে রাখা নিয়েই মহাব্যস্ত।
অথচ, বছরজুড়ে যে সংবাদকর্মীরা নিত্যনতুন সংবাদ পাঠক সমাজের সামনে উপস্থাপন করছেন তারাই ভোলা প্রেসক্লাবে স্থান পাচ্ছে না। কেন?
কিংবা জড়িত থাকলেও সংবাদ সংগ্রহে সক্রিয় দায়িত্ব পালন নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, প্রেসক্লাবের বাহিরে থাকা সংবাদকর্মীরা নিজেদের মেধা বিকাশ ও মনন দিয়ে অনবরত দায়িত্ব পালন করছেন।
কিন্তু যারা পদ-পদবি নিয়ে বসে আছে তারা কি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন? আশা করি উত্তর মিলবে…
।