‘করোনাকালে এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি’
করোনাকালে এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে আর্ট অ্যাগেনিস্ট করোনা
শীর্ষক মাসব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন ধারণা করেছিল বিশ্বের কোনো দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১.৩৮ থেকে ৩.৩৮ শতাংশের বেশি হবে না, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ।
এটা অভাবনীয় সাফল্য। করোনাকালেও প্রমাণিত হলো আমরা বীরের জাতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে বন্ধু-প্রতিম দেশগুলোকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খাবারসহ চিকিৎসার ব্যবস্থার অনুরোধ করা হয়েছিল।
তারা আমাদের কথা রেখেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনসমূহে অর্থ পাঠানো হয়েছিল।
দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে।
ড. মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার বাতিল হওয়ার পর আমাদের প্রচেষ্টায় বাতিল হওয়া অর্ডারের ৪০% পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে আলাপ করেছেন যাতে তারা আমাদের এই সাপ্লাই চেইন নষ্ট না করেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো করছে।
প্রতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. বদরুল আরেফীন, বরেণ্য চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ।