একাই আর্মেনিয়ার ৭ ট্যাংক ধ্বংস করল যে আজেরি সেনা
সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও পাল্টা-পাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। গত মাস থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে উভয় দেশের অবকাঠামোসহ কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এ যুদ্ধে হুনার মাম্মাদোভ নামে এক আজেরি সেনার বীরত্ব প্রকাশ করা হয়েছে।
যিনি আজেরি ভূখণ্ড দখলমুক্ত করার সময় আর্মেনিয়ার সাতটি ট্যাংক ধ্বংসসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামাদি ধ্বংস করেন।
মঙ্গলবার আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম আজভিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হুনার মাম্মাদোভ নামে ওই যোদ্ধা তার অপর দুই সহযোগী এলভিন মাদাতোভ ও রুফাত আসাদুল্লাহইয়েভের সহায়তায় শত্রুপক্ষের সাতটি ট্যাংক, একটি পিডিএম, একটি সাঁজোয়া যান এবং দুইটি পর্যবেক্ষণ চৌকি গুড়িয়ে দেয়। আর্মেনিয়ার হাত থেকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড দখলমুক্ত করার সময় শত্রুপক্ষের এসব সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ওই বীর যোদ্ধাসহ তিনজনের ছবি দেশটির সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়।
ছবি প্রকাশ করে সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, আমাদের সেনাদের নিয়ে গর্ব করছি, যারা শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।
পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।
শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।